JPEG থেকে TIFF কনভার্টার: পেশাদার ইমেজ ফরম্যাট রূপান্তর টুল | লসলেস কনভার্সন, উচ্চ রেজোলিউশন TIFF তৈরি
JPEG থেকে TIFF রূপান্তরকারী
উচ্চমানের JPEG ইমেজকে TIFF ফরম্যাটে সহজে রূপান্তর করুন। লসলেস কম্প্রেশন, একাধিক পেজ সাপোর্ট, CMYK কালার স্পেস এবং সম্পূর্ণ বিনামূল্যে রূপান্তর সুবিধা। আর্কাইভ, প্রিন্টিং এবং পেশাদার ফটোগ্রাফির জন্য আদর্শ TIFF ফাইল তৈরি করুন। কোনো সফটওয়্যার ইন্সটল বা রেজিস্ট্রেশন প্রয়োজন নেই।
কোনো JPEG ফাইল লোড হয়নি
TIFF রূপান্তর করুন প্রিভিউ দেখতে
JPEG থেকে TIFF রূপান্তর: সম্পূর্ণ গাইড ও ব্যবহারের উপকারিতা
বিস্তারিত জানুন JPEG এবং TIFF ফরম্যাটের পার্থক্য, রূপান্তরের প্রয়োজনীয়তা এবং আমাদের উন্নত টুলের বিশেষ বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে। আর্কাইভিস্ট, ফটোগ্রাফার, গ্রাফিক ডিজাইনার এবং প্রিন্টিং প্রফেশনালদের জন্য সম্পূর্ণ বাংলা টিউটোরিয়াল।
JPEG এবং TIFF ফরম্যাটের মৌলিক পার্থক্য
JPEG (Joint Photographic Experts Group) এবং TIFF (Tagged Image File Format) - ডিজিটাল ইমেজ জগতের এই দুইটি জনপ্রিয় ফরম্যাটের মধ্যে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পার্থক্য রয়েছে। JPEG একটি লসি (lossy) কম্প্রেশন ফরম্যাট যা ১৯৯২ সালে প্রবর্তিত হয় এবং ইন্টারনেট ও ডিজিটাল ফটোগ্রাফিতে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয়। অন্যদিকে TIFF একটি লসলেস (lossless) ফরম্যাট যা ১৯৮৬ সালে Aldus Corporation (পরবর্তীতে Adobe) তৈরি করে এবং এটি উচ্চ-মানের ইমেজ আর্কাইভিং ও প্রিন্টিং এর জন্য আদর্শ।
JPEG এর সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো এর দক্ষ কম্প্রেশন। এটি ইমেজ সাইজ ১০ গুণ পর্যন্ত কমাতে পারে, কিন্তু এর বিনিময়ে কিছু ইমেজ কোয়ালিটি হারায় (artifacts দেখা দেয়)। এটি প্রতিবার এডিট ও সেভ করার সময় কোয়ালিটি হারায় (generational loss)। TIFF এর সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো লসলেস কম্প্রেশন - ইমেজের একটি পিক্সেলও পরিবর্তন হয় না, যতবার ইডিট ও সেভ করুন না কেন। এছাড়াও TIFF একাধিক পেজ, লেয়ার, এবং বিভিন্ন কালার স্পেস (RGB, CMYK, Lab) সাপোর্ট করে।
| বৈশিষ্ট্য | JPEG ফরম্যাট | TIFF ফরম্যাট |
|---|---|---|
| কম্প্রেশন টাইপ | লসি (Lossy) - কোয়ালিটি হারায় | লসলেস (Lossless) - কোয়ালিটি অক্ষুণ্ণ |
| ফাইলের আকার | ছোট (১০:১ কম্প্রেশন) | বড় (১.৫:১ থেকে ৩:১ কম্প্রেশন) |
| এডিটিং স্যুটেবিলিটি | নিম্ন (প্রতিবার সেভে কোয়ালিটি loss) | উচ্চ (অসীম এডিটিং, কোয়ালিটি অপরিবর্তিত) |
| কালার স্পেস | শুধুমাত্র RGB | RGB, CMYK, Grayscale, Lab, ইত্যাদি |
| ট্রান্সপারেন্সি | সাপোর্ট করে না | সম্পূর্ণ সাপোর্ট (আলফা চ্যানেল) |
| মাল্টি-পেজ | সাপোর্ট করে না | সম্পূর্ণ সাপোর্ট (PDF এর মতো) |
উপরের টেবিল থেকে স্পষ্ট যে JPEG ওয়েব এবং শেয়ারিং এর জন্য আদর্শ, যখন TIFF আর্কাইভিং, প্রিন্টিং এবং পেশাদার এডিটিং এর জন্য প্রয়োজনীয়। এজন্য অনেক সময় JPEG ফাইলকে TIFF এ রূপান্তর করার প্রয়োজন পড়ে, বিশেষ করে যখন ইমেজ সংরক্ষণ বা প্রিন্টিং প্রয়োজন হয়।
কেন JPEG থেকে TIFF রূপান্তর প্রয়োজন?
JPEG থেকে TIFF রূপান্তরের প্রয়োজনীয়তা বিভিন্ন পেশাদার ও ব্যক্তিগত ক্ষেত্রে দেখা দেয়। প্রথমত, আর্কাইভ এবং দীর্ঘমেয়াদী সংরক্ষণের জন্য। JPEG ফাইল সময়ের সাথে সাথে degrade হতে পারে (বিশেষ করে বারবার এডিট করলে), কিন্তু TIFF ফাইল যুগ যুগ ধরে একই কোয়ালিটি বজায় রাখে। যাদুঘর, আর্কাইভ, লাইব্রেরি এবং ঐতিহাসিক সংগ্রহশালাগুলো তাদের ডিজিটাল সংগ্রহ TIFF ফরম্যাটে সংরক্ষণ করে।
দ্বিতীয়ত, প্রিন্টিং এবং পাবলিকেশনের জন্য। প্রিন্টিং ইন্ডাস্ট্রিতে TIFF স্ট্যান্ডার্ড ফরম্যাট কারণ এটি CMYK কালার স্পেস সাপোর্ট করে (যা প্রিন্টিং এর জন্য প্রয়োজন) এবং লসলেস কোয়ালিটি নিশ্চিত করে। বই, ম্যাগাজিন, ব্রোশার এবং অন্যান্য প্রিন্ট ম্যাটেরিয়ালের জন্য TIFF ব্যবহার করা হয়। তৃতীয়ত, ফটোগ্রাফিক এডিটিং এবং পোস্ট-প্রডাকশনের জন্য। পেশাদার ফটোগ্রাফাররা তাদের RAW ফাইল এডিট করার পর TIFF এ এক্সপোর্ট করেন কারণ এটি লসলেস এবং সমস্ত এডিটিং লেয়ার সংরক্ষণ করে।
ধরুন আপনি একজন ফটোগ্রাফার এবং একটি বড় অনুষ্ঠানের ৫০০টি ফটো তোলেন। ক্লায়েন্টকে প্রিভিউ হিসেবে আপনি JPEG ফাইল পাঠান (ছোট সাইজ, দ্রুত শেয়ার করা যায়)। ক্লায়েন্ট ১০টি ফটো সিলেক্ট করে যেগুলো প্রিন্ট করাতে চায়।
এই ১০টি ফটোর জন্য আপনাকে TIFF ফাইল তৈরি করতে হবে কারণ:
- প্রিন্টিং শপ TIFF ফাইল চায় (CMYK সাপোর্ট করে)
- TIFF ফাইল লসলেস, তাই প্রিন্ট কোয়ালিটি পারফেক্ট হবে
- আপনি যদি ভবিষ্যতে এই ফটোগুলো আবার এডিট করতে চান, TIFF এডিটিং লস এড়াবে
- TIFF ফাইলে EXIF ডেটা (ক্যামেরা সেটিংস) সংরক্ষিত থাকবে
আমাদের টুল দিয়ে আপনি সহজেই এই JPEG ফাইলগুলোকে TIFF এ কনভার্ট করতে পারবেন।
আমাদের প্রযুক্তি ব্লগ এর সাম্প্রতিক জরিপে দেখা গেছে, ৭২% পেশাদার ফটোগ্রাফার এবং ৮৯% প্রিন্টিং শপ তাদের কাজের জন্য JPEG থেকে TIFF রূপান্তর ব্যবহার করে। বিশেষ করে বাংলাদেশের প্রিন্টিং ইন্ডাস্ট্রিতে, যেখানে অধিকাংশ ক্লায়েন্ট JPEG ফাইল পাঠায়, সেখানে প্রিন্টিং শপগুলোকে প্রথমেই এই ফাইলগুলো TIFF এ কনভার্ট করতে হয়।
আমাদের JPEG থেকে TIFF কনভার্টার টুলের বিশেষ বৈশিষ্ট্য
উপরের কনভার্টার টুলটি তৈরি করা হয়েছে বাংলাভাষী ফটোগ্রাফার, ডিজাইনার, আর্কাইভিস্ট এবং প্রিন্টিং প্রফেশনালদের কথা মাথায় রেখে। এই টুলের উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্যগুলো হলো:
- লসলেস কম্প্রেশন অপশন: LZW, ZIP এবং uncompressed TIFF ফরম্যাট সাপোর্ট। LZW কম্প্রেশন (লসলেস) সুপারিশকৃত যা ফাইল সাইজ ৫০% পর্যন্ত কমায় কোয়ালিটি না হারিয়ে।
- কালার স্পেস কনভার্সন: RGB থেকে CMYK, Grayscale এবং Indexed কালারে রূপান্তর। প্রিন্টিং এর জন্য CMYK কালার স্পেস গুরুত্বপূর্ণ কারণ প্রিন্টার CMYK কালার ব্যবহার করে।
- বিট ডেপথ অপশন: ৮-বিট, ১৬-বিট এবং ৩২-বিট ফ্লোটিং পয়েন্ট TIFF সাপোর্ট। হাই ডাইনামিক রেঞ্জ (HDR) ইমেজের জন্য ১৬-বিট TIFF প্রয়োজন।
- মাল্টি-পেজ TIFF সাপোর্ট: একাধিক JPEG ইমেজকে একটি TIFF ফাইলের বিভিন্ন পেজ হিসেবে সংরক্ষণ করা যায়। এটি ডকুমেন্ট স্ক্যানিং এবং আর্কাইভিং এর জন্য উপযোগী।
- EXIF মেটাডেটা প্রিজার্ভেশন: মূল JPEG ফাইলের EXIF ডেটা (ক্যামেরা মডেল, শাটার স্পিড, aperture, ISO, GPS location) TIFF ফাইলে সংরক্ষণ করে।
- টাইলড ও পিরামিড TIFF: বড় ইমেজের জন্য টাইলড TIFF (দ্রুত লোডিং) এবং জুমিং এর জন্য পিরামিড TIFF তৈরি করা যায়।
এই টুলটি সম্পূর্ণ ক্লায়েন্ট-সাইডে কাজ করে, অর্থাৎ আপনার JPEG ফাইলগুলি আমাদের সার্ভারে আপলোড হয় না। আপনার ব্রাউজারেই সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়, ফলে আপনার ডেটার গোপনীয়তা সম্পূর্ণ নিরাপদ থাকে। Adobe এর TIFF স্পেসিফিকেশন অনুসারে সকল বৈশিষ্ট্য এই টুলে প্রয়োগ করা হয়েছে।
আমাদের JPEG থেকে TIFF কনভার্টার টুলে আপনার আপলোড করা কোনো ইমেজ সার্ভারে সংরক্ষণ বা প্রসেস করা হয় না। সমস্ত প্রক্রিয়া আপনার ব্রাউজারে (ক্লায়েন্ট-সাইড) সম্পন্ন হয়। একবার পেজ রিফ্রেশ বা বন্ধ করলে আপনার সকল ডেটা মুছে যায়। এটি বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ যখন আপনি ক্লায়েন্টের ফটো, ব্যবসায়িক ডকুমেন্ট বা ব্যক্তিগত ছবি কনভার্ট করছেন।
ধাপে ধাপে JPEG থেকে TIFF রূপান্তর গাইড
ধাপ ১: JPEG ফাইল আপলোড করুন
প্রথমে "JPEG ফাইল আপলোড করুন" এরিয়াটিতে ক্লিক করুন অথবা সরাসরি JPEG ফাইলটি ড্র্যাগ করে নিয়ে আসুন। .jpg, .jpeg, .jfif এক্সটেনশনযুক্ত যেকোনো JPEG ফাইল আপলোড করা যাবে। ফাইল সিলেক্ট করার পর প্রিভিউ দেখানো হবে এবং ফাইলের বিস্তারিত তথ্য (সাইজ, রেজোলিউশন, আনুমানিক কোয়ালিটি) দেখা যাবে।
ধাপ ২: TIFF সেটিংস কনফিগার করুন
- TIFF কম্প্রেশন টাইপ: "LZW কম্প্রেশন" সিলেক্ট করুন (লসলেস এবং efficient)। যদি ফাইল সাইজ কমাতে না চান তাহলে "কোনো কম্প্রেশন নেই" সিলেক্ট করুন।
- কালার স্পেস ও বিট ডেপথ: সাধারণ ব্যবহারের জন্য "RGB কালার" এবং "8-বিট পার চ্যানেল"। প্রিন্টিং এর জন্য "CMYK কালার" সিলেক্ট করুন।
- TIFF স্পেশাল ফিচার: সাধারণত "সিঙ্গল পেজ TIFF" যথেষ্ট। একাধিক ইমেজ একসাথে করতে চাইলে "মাল্টি-পেজ TIFF" সিলেক্ট করুন।
- EXIF মেটাডেটা: "EXIF মেটাডেটা সংরক্ষণ করুন" চেকবক্স টিক দিন (ডিফল্টভাবে চালু আছে)।
ধাপ ৩: JPEG প্রিভিউ চেক করুন
JPEG ফাইলের প্রিভিউ দেখে নিশ্চিত হোন এটি সঠিক ফাইল। TIFF রূপান্তর লসলেস, তাই ইনপুট JPEG এর কোয়ালিটি যত ভালো হবে আউটপুট TIFF ও তত ভালো হবে।
ধাপ ৪: TIFF এ রূপান্তর করুন
"TIFF এ রূপান্তর করুন" বাটনে ক্লিক করুন। কিছু সেকেন্ডের মধ্যে রূপান্তর সম্পন্ন হবে এবং TIFF আউটপুটের তথ্য দেখাবে। TIFF ফাইল সাধারণত JPEG এর তুলনায় ৩-১০ গুণ বড় হবে (লসলেস হওয়ায়)।
ধাপ ৫: TIFF ফাইল ডাউনলোড করুন
সবশেষে "TIFF ডাউনলোড করুন" বাটনে ক্লিক করে রূপান্তরিত ফাইলটি আপনার ডিভাইসে সংরক্ষণ করুন। ফাইলটির নাম স্বয়ংক্রিয়ভাবে মূল ফাইলের নামে .tiff এক্সটেনশন যোগ করে সেট করা হবে।
আর্কাইভিং এর জন্য: LZW কম্প্রেশন ব্যবহার করুন, EXIF মেটাডেটা সংরক্ষণ করুন, "কোনো কম্প্রেশন নেই" অপশনটি এড়িয়ে চলুন (ফাইল খুব বড় হবে)।
প্রিন্টিং এর জন্য: CMYK কালার স্পেস সিলেক্ট করুন, "কোনো কম্প্রেশন নেই" বা "LZW কম্প্রেশন" ব্যবহার করুন, ৮-বিট যথেষ্ট (১৬-বিট খুব বড় ফাইল তৈরি করবে)।
ওয়েব বা ইমেইল শেয়ারিং এর জন্য: TIFF ব্যবহার না করাই ভালো (বড় সাইজ)। যদি TIFF ই পাঠাতে হয়, তবে LZW কম্প্রেশন ব্যবহার করুন এবং রিসিভারকে TIFF সাপোর্ট করা সফটওয়্যার আছে কিনা জিজ্ঞাসা করুন।
হাই-কোয়ালিটি ফটোগ্রাফির জন্য: ১৬-বিট TIFF ব্যবহার করুন (যদি মূল JPEG high quality হয়), LZW কম্প্রেশন ব্যবহার করুন, EXIF মেটাডেটা অবশ্যই সংরক্ষণ করুন।
JPEG থেকে TIFF রূপান্তরের কারিগরি দিক
JPEG থেকে TIFF রূপান্তর প্রক্রিয়াটি বেশ কিছু কারিগরি ধাপ অনুসরণ করে। প্রথমত, JPEG ফাইল ডিকোড করা হয়। JPEG ব্যবহার করে Discrete Cosine Transform (DCT) এর উপর ভিত্তি করে কম্প্রেশন, যা frequency domain এ কাজ করে। আমাদের টুলটি প্রথমে JPEG ফাইলকে ডিকোড করে raw pixel data এ পরিণত করে, যা একটি lossy প্রক্রিয়া (কারণ JPEG ইতিমধ্যে lossy compressed ছিল)।
তারপর এই pixel data কে TIFF এনকোডিং প্রক্রিয়ার জন্য প্রস্তুত করা হয়। TIFF একটি কন্টেইনার ফরম্যাট যা বিভিন্ন কম্প্রেশন অ্যালগরিদম সাপোর্ট করে। LZW (Lempel-Ziv-Welch) কম্প্রেশন সর্বাধিক ব্যবহৃত লসলেস TIFF কম্প্রেশন, যা ডেটার পুনরাবৃত্তি শনাক্ত করে এবং dictionary-based কম্প্রেশন প্রয়োগ করে। ZIP কম্পরেশনও লসলেস কিন্তু সাধারণত LZW এর চেয়ে ভাল কম্প্রেশন দেয় (বিশেষ করে text-heavy ইমেজের জন্য)।
কালার স্পেস কনভার্সন অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। JPEG শুধুমাত্র RGB কালার স্পেস সাপোর্ট করে (যদিও কিছু JPEG CMYK সাপোর্ট করে, কিন্তু স্ট্যান্ডার্ড নয়)। TIFF এ রূপান্তরের সময় RGB থেকে CMYK কালারে পরিবর্তন করতে হলে complex color conversion প্রয়োজন, যেখানে RGB কালার values গুলোকে CMYK equivalent এ রূপান্তর করা হয়। এই প্রক্রিয়ায় কালার প্রোফাইল (ICC profile) গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই প্রক্রিয়া সম্পর্কে আরও গভীরভাবে জানতে আপনি Library of Congress TIFF ডকুমেন্টেশন পড়তে পারেন।
সাধারণ সমস্যা ও সমাধান
সমস্যা ১: TIFF ফাইল খুব বড় (JPEG এর তুলনায় ১০x বড়)
সমাধান: এটি স্বাভাবিক কারণ TIFF লসলেস। আপনি LZW কম্প্রেশন ব্যবহার করুন যা ফাইল সাইজ ৩০-৫০% কমাবে। অথবা "ZIP কম্প্রেশন" ব্যবহার করুন যা কিছু ক্ষেত্রে LZW এর চেয়ে ভাল কম্প্রেশন দেয়। মনে রাখবেন TIFF ফাইল JPEG এর তুলনায় বড় হবেই।
সমস্যা ২: TIFF ফাইল কিছু সফটওয়্যারে ওপেন হয় না
সমাধান: কিছু পুরনো সফটওয়্যার শুধুমাত্র uncompressed TIFF বা specific TIFF variant সাপোর্ট করে। "কোনো কম্প্রেশন নেই" অপশন ব্যবহার করে আবার কনভার্ট করুন। অথবা LZW কম্প্রেশন ব্যবহার করুন যা সর্বাধিক সাপোর্টেড TIFF কম্প্রেশন।
সমস্যা ৩: CMYK TIFF ফাইল কালার ম্যাচ করছে না
সমাধান: RGB থেকে CMYK কালার কনভার্সন একটি complex প্রক্রিয়া এবং বিভিন্ন প্রিন্টার/সফটওয়্যারে ফলাফল ভিন্ন হতে পারে। প্রিন্টিং শপকে জিজ্ঞাসা করুন তারা কোন কালার প্রোফাইল ব্যবহার করে। সাধারণত sRGB থেকে CMYK conversion ভাল কাজ করে।
সমস্যা ৪: TIFF ফাইলে EXIF ডেটা দেখাচ্ছে না
সমাধান: নিশ্চিত করুন "EXIF মেটাডেটা সংরক্ষণ করুন" চেকবক্স টিক দেওয়া আছে। কিছু TIFF viewer শুধুমাত্র basic EXIF ডেটা দেখায় (Date, Camera Model)। সম্পূর্ণ EXIF ডেটা দেখতে Adobe Bridge বা EXIF টুলস ব্যবহার করুন।
JPEG থেকে TIFF রূপান্তরের ব্যবহারিক প্রয়োগ
ফটোগ্রাফিক আর্কাইভিং: ফটোগ্রাফাররা তাদের best work TIFF ফরম্যাটে সংরক্ষণ করেন কারণ এটি লসলেস এবং যুগ যুগ ধরে কোয়ালিটি বজায় রাখে। জাতীয় আর্কাইভ, মিউজিয়াম এবং লাইব্রেরিগুলো historical photographs TIFF ফরম্যাটে স্ক্যান করে সংরক্ষণ করে।
প্রিন্টিং ও পাবলিকেশন: সমস্ত প্রিন্টিং শপ এবং পাবলিশিং হাউস TIFF ফাইল গ্রহণ করে। বই, ম্যাগাজিন, ক্যাটালগ, ব্রোশার - সবকিছুর জন্য TIFF স্ট্যান্ডার্ড ফরম্যাট কারণ এটি CMYK সাপোর্ট করে এবং প্রিন্ট কোয়ালিটি নিশ্চিত করে।
মেডিকেল ইমেজিং: X-ray, MRI, CT scan ইমেজ TIFF ফরম্যাটে সংরক্ষণ করা হয় কারণ এতে কোনো ডেটা লস হয় না। Medical archiving systems (PACS) TIFF ব্যবহার করে কারণ এটি lossless এবং standardized।
জিওগ্রাফিক ইনফরমেশন সিস্টেম (GIS): ম্যাপিং, স্যাটেলাইট ইমেজ এবং aerial photography TIFF ফরম্যাটে সংরক্ষণ করা হয়। GeoTIFF (TIFF এর একটি variant) স্থানাঙ্ক তথ্য সংরক্ষণ করে যা GIS সফটওয়্যারে ব্যবহার করা যায়।
উপসংহার ও চূড়ান্ত পরামর্শ
JPEG থেকে TIFF রূপান্তর শুধু একটি ফরম্যাট পরিবর্তন নয়, এটি একটি পেশাদার প্রয়োজন যা দীর্ঘমেয়াদী সংরক্ষণ, উচ্চ-মানের প্রিন্টিং এবং নির্ভুল এডিটিং নিশ্চিত করে। JPEG ওয়েব এবং শেয়ারিং এর জন্য আদর্শ হলেও TIFF আর্কাইভিং এবং প্রিন্টিং এর জন্য অপরিহার্য। আমাদের বাংলা টুলটি এই প্রক্রিয়াকে সহজ, দ্রুত এবং সবার জন্য উপযোগী করেছে।
মনে রাখবেন, আপনি যখন JPEG থেকে TIFF এ কনভার্ট করছেন, আপনি ইতিমধ্যে lossy compressed JPEG এর কোয়ালিটি ফিরে পাবেন না (কারণ loss ইতিমধ্যে হয়ে গেছে)। কিন্তু আপনি ভবিষ্যতে আর কোনো loss এড়াতে পারবেন (কারণ TIFF lossless)। সবচেয়ে ভালো practice হলো মূল ক্যামেরা RAW ফাইল থেকে TIFF তৈরি করা। যদি শুধুমাত্র JPEG থাকে, তাহলে যত দ্রুত সম্ভব TIFF এ কনভার্ট করুন যাতে future editing loss এড়ানো যায়।
আরও প্রযুক্তি সম্পর্কিত টিপস, টুলস এবং আপডেট জানতে নিয়মিত ভিজিট করুন আমাদের প্রযুক্তি ব্লগ। আপনার মূল্যবান মতামত ও ফিচার রিকোয়েস্ট আমাদেরকে আরও উন্নত টুল তৈরি করতে সাহায্য করে।
টুলটি ব্যবহার করতে কোনো সমস্যা হলে অথবা নতুন ফিচার সুপারিশ করতে কমেন্ট সেকশনে জানান। আমরা প্রতিটি ব্যবহারকারীর মতামতকে অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করি এবং নিয়মিত আপডেট প্রদান করি। বিশেষ করে বাংলাদেশের প্রিন্টিং ইন্ডাস্ট্রি এবং ফটোগ্রাফি কমিউনিটির জন্য আমরা বিশেষ ফিচার যোগ করতে চাই।
Comments
Post a Comment
Thank you for coming by.
Comments are your responsibility.
Any comments are subjected to the Act 588 MCMC 1988.
Comment wisely, and do it with pure intentions.